২৪খবরবিডি: 'রাজধানীর বনানীর একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকতেন সাবেক বলাকা ব্লেড বর্তমানে সামাহ রেজার ব্লেডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক সেলিম সাত্তার। বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেই খুলে বসেছিলেন অবৈধ মিনিবার। তার বারে বিভিন্ন ব্যক্তিরা এসে মাদক সেবন করতেন ও মাদক বিক্রি করতেন। তবে তার মাদক বিক্রি ও সেবনের ছিল না কোনও লাইসেন্স'।
'রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনানীর ১১ নম্বর সড়কের ব্যাংক এশিয়া ভবনের ৭৭ নম্বর বাড়ির নবম তলার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। অভিযানে ফ্ল্যাটের মালিক ও মাদকের সঙ্গে জড়িত সেলিম সাত্তারকে আটক করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ ফরেন লিকার, এমডিএমএ, কোকেন, এলএসডি, ক্যানা বিস চকলেট, কুশ ও সিনথেটিক গাঁজাসহ বিভিন্ন মূর্তি। অভিযানের পর সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলেই ব্রিফিং করেন ডিএনসির উপপরিচালক (উত্তর) রাশেদুজ্জামান। তিনি বলেন, রাজধানীর বনানীর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিক সাবেক বলাকা ব্লেড বর্তমানে সামাহ রেজার ব্লেডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক সেলিম সাত্তারের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক সেলিম বিলাসবহুল ওই ফ্ল্যাটেই খুলে বসেছিলেন অবৈধ মিনিবার। তার বারে বিভিন্ন ব্যক্তিরা এসে মাদক সেবন করতেন ও মাদক বিক্রি করতেন সেলিম। তবে তার মাদক বিক্রি ও সেবনের ছিল না কোনও লাইসেন্স।'
'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিডি বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে তথ্য পাই যে বনানী এলাকার ১১ রোডের ৭৭ নম্বর হাউসের এম ব্লকের ব্যাংক এশিয়া বিল্ডিংয়ের লিফটের ৮ নম্বরের এই বাসায় অবৈধ মাদক বিক্রি ও সেবন করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ফরেন লিকার, এমডিএমএ, কোকেন, এলএসডি, ক্যানাবিস চকলেট, কুশ, ও সিনথেটিক
রাজধানীর বনানীর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বলাকা ব্লেডের পরিচালকের মিনিবার
গাঁজা, সিসা ও লিকুইড গাঁজা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। আটক সেলিম সাত্তারের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিএনসির এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি বাংলাদেশ ও সুইডেনের দৈত নাগরিক। সেলিম সাত্তার বিভিন্ন সময়ে বিদেশে যাতায়াতের মাধ্যমে এ মাদক সংগ্রহ করতেন।
'এই বাসাটি তার নিজস্ব। উদ্ধার হওয়া মাদক তিনি নিজে ব্যবহার ও বিক্রি করে আসছিলেন। তিনি এ কাজটি কত দিন ধরে করছেন, সেটি তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান ডিএনসির এই কর্মকর্তা। বাসার ভেতরে মিনি বারে কারা আসত, জানতে চাইলে উপপরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, বাসার ভেতরে বারে আটক সাত্তারের বন্ধুবান্ধবসহ বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিরা আসতেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মাদক বিক্রি করতেন। পাশাপাশি বাসা থেকে কষ্টিপাথর ও মূর্তি উদ্ধার করা হয়। তবে কষ্টিপাথরের মতো দেখতে মূর্তিগুলো আসল নয়। এগুলো বহু পুরোনো মৃৎশিল্প। বাসাটিতে আটক সেলিমের স্ত্রী ও গৃহকর্মীসহ চারজন থাকতেন। মাদকের সঙ্গে সেলিমের স্ত্রীর কোনও যোগসাজশ পাওয়া যায়নি বলে তাকে আটক করা হয়নি। আটক সাত্তারের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।'